কিভাবে শুরু করবেন নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ

কিভাবে শুরু করবেন নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ


Posted on: 2021-04-23 22:53:15 | Posted by: eibbuy.com
কিভাবে শুরু করবেন নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ

মাছ চাষ সবসময় একটা লাভজনক ব্যবসা । মাছ চাষের অনেক পদ্ধতি চালু থাকলেও নদীতে মাছ চাষ একটা নতুন পদ্ধতি । বর্তমান সময়ে মাছ চাষের একটি উত্তম পদ্ধতি হল খাঁচায় নদীতে মাছ চাষ করা। নদীতে মাছ চাষ খুবই লাভজনক। সাধারণ পুকুরের চেয়ে অনেক বেশি ফলন পাওয়া যায় নদীতে মাছ চাষ পদ্ধতিতে। বর্তমানে অনেকেই নদীতে মাছ চাষ করে খুব লাভজনক ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসতেছেন । আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে নদীতে মাছ চাষ শুরু করবেন?  নদীতে মাছ চাষ করার স্থান কিভাবে সুবিধামতো ভাবে বেছে নিবেন?  নদীতে মাছ চাষ করতে কত টাকা লাগবে এবং কিভাবে বিনিয়োগ করবেন? নদীতে মাছ চাষ করতে মাছের দেখাশোনা কিভাবে করবেন? নদীতে মাছ চাষ করে উতাপদিত মাছ কোথায় কিভাবে বিক্রি করবেন? নদীতে মাছ চাষ করলে কি ধরনের রিস্ক থাকে ?


এই সকল প্রশ্ন নিয়েই আজ আমরা আলোচনা করব। চলুন শুরু করা যাক ।

২০১৫ সালের কথা। টেলিভিশনে নদীতে খাঁচায় মাছ চাষের একটি প্রতিবেদন দেখেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চর ঘাটিনার ফজলুল হক। বিষয়টি তাঁকে বেশ আকৃষ্ট করে। উপজেলা মত্স্য অফিসে যোগাযোগ করেন। জানতে পারেন এ বিষয়ে তাঁকে সহযোগিতা করতে পারবেন রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা ড. আমিমুল এহসান। ফজলুল হকের তখন কাজ ছিল না, বলতে গেলে বেকার। আগে ছোটখাটো একটি ব্যবসা করলেও সেটা বন্ধ। চলে গেলেন রাজশাহী। আমিমুল এহসানের কাছ থেকে নদীতে ভাসমান খাঁচায় তেলাপিয়া চাষের প্রশিক্ষণ নিলেন। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি নিজের বাড়ির পাশে করতোয়া নদীতে ৫০টি প্লাস্টিক ড্রাম ফেলে প্রয়োজনীয় বাঁশ, কাঠ ও নাইলন নেট দিয়ে ২০টি খাঁচা বানান। প্রতিটি খাঁচা ১৫ ফুট চওড়া ও ২০ ফুট লম্বা। এতে ব্যয় হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

প্রথমবার এই খাঁচায় দেড় লাখ টাকায় ১০ হাজার তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়েন। চার মাসে এসব পোনা পূর্ণাঙ্গ মাছে রূপ নেয়। প্রতিটির ওজন হয় ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। চার মাসে মাছের খাবার ও আনুষঙ্গিক পরিচর্যার জন্য ব্যয় হয় আরো তিন লাখ টাকা। এতে উৎপাদিত হয় প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ। ফজলুল হক জানান, প্রথম দফায় তাঁর এই নতুন মত্স্য প্রকল্পে বিনিয়োগ হিসাব করলে লাভের পরিমাণ কম। এ প্রকল্পে গ্রামের ছয় যুবককে কাজ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে ভাসমান খাঁচার সংখ্যা দ্বিগুণ করলে এলাকার আরো ১০ যুবককে কাজ দিতে পারবেন।

এখন সিরাজগঞ্জের বেশ কয়েকটি জায়গায় নদীতে খাঁচায় মাছের চাষ হচ্ছে। জেলার অন্তত ৫০ যুবক মাছ চাষ শুরু করেছেন এবং স্বাবলম্বী হয়েছেন। খাঁচায় মাছ চাষ হচ্ছে জেলার রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া উপজেলায় ফুলজোড় ও করতোয়া নদীতে।

আমিমুল এহসান জানান, ২০১২ সালে তাঁর কর্মস্থল ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সেখানে বিজিবির সহযোগিতায় মহানন্দা নদীতে ভাসমান খাঁচায় তেলাপিয়া মাছ চাষে সফলতা পান। এরপর এই প্রযুক্তি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছেন। উল্লাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘১২ বছর আগে দেশে প্রথম কুমিল্লায় এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হয়। প্রবহমান নদীর পানিতে ভাসমান খাঁচায় মাছের পোনাগুলো প্রাকৃতিক নিয়মে বেড়ে ওঠে এবং এর প্রাকৃতিক স্বাদও অটুট থাকে। ফলে বাজারে এই মাছের চাহিদাও বেশি।’ জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় ২৯২টি খাঁচায় প্রায় অর্ধশত মাছচাষি মাছ চাষ করছেন। এ ব্যাপারে বেকার যুবকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। তারা পরামর্শের জন্য আসছে। জেলা মত্স্য অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি খাঁচায় ৮০০ থেকে এক হাজার মাছের পোনা ছাড়া হয়। লাভ হয় এক লাখ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।’

মাছচাষিরা জানান, সরকারি ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়া গেলে আরো অনেক বেকার যুবক এ কাজে আসবে। এতে বেকার সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি দেশে মাছের চাহিদাও অনেকাংশে পূরণ হবে।

কুমিল্লায় মেঘনা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। বিশেষ করে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এ মাছ চাষ করা হচ্ছে। এখানে কম খাবারে দ্রুত বৃদ্ধি পায় বলে তেলাপিয়া মাছ বেশি চাষ করা হচ্ছে। পুকুর ও খামারে চাষ করা তেলাপিয়া থেকে নদীতে চাষ করা মাছের স্বাদ ব্যতিক্রম। তাই এই মাছের চাহিদাও বেশি। এসব প্রকল্পে কর্মসংস্থান হচ্ছে স্থানীয় যুবকদের, এতে এলাকায় বেকারত্বও কমছে। সরেজমিন দেখা যায়, মেঘনা উপজেলার ওমরাকান্দা ব্রিজ এলাকাসহ কয়েকটি পয়েন্টে ব্যক্তি উদ্যোগে খাঁচায় মাছ চাষ করা হচ্ছে। নদীতে চার কোণের বাঁশ বা এঙ্গেলে জাল লাগিয়ে খাঁচা বানানো হয়। সেই খাঁচা ড্রামে ভাসিয়ে রাখা হয়। পানি বাড়লে খাঁচা উপরে ওঠে- কমলে নিচে যায়।

সেই খাঁচায় মাছের পোনা ফেলে ভাসমান খাবার দেওয়া হয়। খাঁচায় মাছ চাষকারী উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকে মাছ চাষ করছেন। আগে জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছেন। এই এলাকায় পুকুর কম, পরে জানলেন নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করা যায়। তিনি আটটি খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেন। তাকে এ কাজে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সিকদার সহযোগিতা করেন। পরে মত্স্য অধিদফতর তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন। এখন তার খাঁচার সংখ্যা ২০টি। ৪/৫ মাসের মধ্যে মাছ বিক্রি করা যায়। মাছের স্বাদ বেশি হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। তার খাঁচায় এখন ছোট-বড় মিলিয়ে তিন লাখ ২০ হাজার মাছ রয়েছে। মাছগুলো দ্রুত বাড়ায় তিনি ভালো লাভ পাবেন বলেও আশা করেন। মেঘনা উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য জানান, জসিম উদ্দিন মত্স্য অধিদফতরের খাঁচায় মাছ প্রদর্শনীর আওতায় মাছ চাষ করছেন।


তাকে তারা সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তার দেখাদেখি অন্য চাষিরাও এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশে বানিজ্যিক ভাবে যে মাছ চাষ করা হয় তার বেশিরভাগ পুকুর বা ঝিলে। কিন্তু প্রবাহমান নদীতে মাছ চাষ করার ধারণা বাংলাদেশে  নতুন হলেও অল্প কয়েকদিনেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নদীতে মাছ চাষ করার পদ্ধতির এত জনপ্রিয়তার মূল কারণ হল এতে উৎপাদন বেশি এবং সময়ও কম লাগে। একটি উদাহরণ দেই, একটি সাধারণ পুকুরে যদি আপনি তেলাপিয়া মাছ চাষ করেন তবে ঐ মাছের সাইজ ৭০০-১০০০ গ্রাম হতে আপনাকে অন্তত ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে।

কিন্তু ঐ মাছ নদীতে ঐ সাইজের হতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ মাস। আবার পুকুরে মাছ চাষের জন্য পুকুর তৈরি করতে হয় কিন্ত নদীতে এটা করার প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ পুকুরে মাছ চাষ করলে যেখানে আপনি বছরে ২বার মাছ বিক্রি করতে পারবেন সেখানে নদীতে অনায়াসে ৩ বার মাছ বিক্রি করতে পারবেন। তার উপর নদীতে অল্প জায়গায় পুকুরের তুলনায় বেশি মাছ ছাড়তে পারবেন। কারন নদীর পানি প্রবাহমান। তারপর  নদীতে মাছের রোগবালাই খুব কম। অর্থাৎ আপনি যদি নদীতে মাছ চাষ করেন তাহলে বেশি লাভবান হবেন।


নদীতে মাছ চাষ শুরু করার পূর্বে আপনাকে স্থান বাছাই করতে হবে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য বড় নদী নয় ছোট নদীই উপযুক্ত হবে । কারন বড় নদী হলে স্রোত অত্যন্ত বেশি থাকে যার কারনে আপনার নেট, ড্রাম সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। তারপর নদীতে যে পানি থাকে তা হতে হবে দূষণমুক্ত।
এবার আসি এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করতে কি কি প্রয়োজন হবে.....


১.ড্রাম
২. বাঁশ অথবা পিভিসি পাইপ তবে অনেকে এক্ষেত্রে জি আই পাইপ ব্যবহার করে।
৩. নেট (কয়েক ধরনের নেট প্রয়োজন হবে)
৪.রাতের জন্য ইলেকট্রিক সংযোগ
মোটামুটিভাবে এগুলো হলেই চলবে।নদীতে ড্রাম, বাঁশ ও নেট দিয়ে মাছ চাষের উপযোগী খাচা তৈরি করতে হবে। প্রতিটি খাচার আকার হবে ২০ ফুট বাই ১০ ফুট। নেট বা যে জাল ব্যবহার করবেন সেটা যেনো ২ স্তরের হয়। একটির পর একটি করে ৫ টি খাঁচা তৈরি করতে পারেন। প্রথমে এই ৫ টিই থাকুক। পরে সুবিধামত বাড়িয়ে নিতে পারবেন। আর এ খাঁচাগুলো যেনো নদীর পাড়ের সাথে বাঁধা থাকে। নতুবা স্রোতের সাথে ভেসে চলে যাবে। আর নদীর যে স্থানটির তীর ঘেঁষে আপনি মাছ চাষ করবেন সে স্থানটি ভাড়া অথবা লিজ নিয়ে ফেলুন। এতে খরচটা একটু বাড়লেও অনেক ঝামেলা থেকে আপনি বেচে যাবেন।
এবার আসি এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করতে কি পরিমাণ পুঁজি প্রয়োজন হবে.... প্রথমেই স্ট্রাকচারাল খরচটা বলি।


১. সকল খরচ সহ প্রতিটি খাঁচা তৈরি করতে প্রয়োজন হবে  ১৫০০০৳।
২.জমি লিজ নিতে প্রয়োজন হবে ১০০০০৳।
৩.মাছের পোনা ক্রয় বাবদ ২০০০০৳।
৪. মাছের খাদ্য ও অন্যান্য ২০০০০০৳।

অর্থাৎ প্রথমে আপনাকে প্রায় ২৫০০০০৳ বিনিয়োগ করতে হবে।
পরে যখন আবার মাছ ছাড়বেন তখন কিন্তু এত খরচ লাগবেনা। কারণ পরেরবার আপনাকে আবার নতুন করে খাঁচা তৈরি ও জমি লিজ নিতে হবে না। আর প্রথমবার মাছ বিক্রি করে যে টাকা উঠবে তা থেকেই  পরের মাছ বাবদ প্রয়োজনীয় খরচ রেখে দিবেন। বাকী টাকা লাভ হিসেবে রেখে দিবেন।
যেসব মাছ নদীতে খাচা পদ্ধতিতে চাষ করতে পারবেন...
১.তেলাপিয়া
২.পাঙ্গাশ
৩.কৈ
৪.শিং
৫.মাগুর
৬.কার্প
৭.শোল
৯.সরপুঁটি  ইত্যাদি।

মাছভেদে কি পরিমাণ মাছ ছাড়বেন তা ভিন্ন হয়। যেমন উল্লেখিত আকারের খাঁচায় যদি মনোসেক্স জাতের তেলাপিয়া ছাড়েন তবে ১০০০ থেকে ১২০০ পিস ছাড়তে পারবেন। পাঙ্গাশ ছাড়তে পারবেন ৭০০ থেকে ৮০০ পিস।
আপনার ব্যবসা আপনি নিজেই দেখাশোনা করতে পারেন অথবা আপনি চাইলে দেখাশোনার জন্য একজন লোক নিয়োগ দিতে পারেন। নিয়োগকৃত লোককে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে। ঠিক সময়মত মাছের খাদ্য দিতে হবে।


মাছের পোনা ত্রয় করতে প্রায় সবাইকে একটা ঝামেলায় পড়তে হয়। সেটা হল ভালো মানের পোনা পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে আপনি যদি নতুন হন অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নিবেন যে কোথা থেকে আপনি মাছের পোনা ক্রয় করবেন। আর এমন মানুষ থেকে পরামর্শ নিবেন যারা এখনও মাছ চাষের সাথে জড়িত আছে। আর অবশ্যই কয়েকটি মাছের খামার পরিদর্শন করে আসবেন। এতে অনেক সুবিধা পাবেন। মাছ বিক্রির সময় দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। আপনি নিজে সরাসরি আড়তে কথা বলে সেখানে বিক্রি করবেন।


এবার আসি এই ব্যবসায় লোকসানের কারণগুলো কি? প্রথম সমস্যা হল নদীর পানি দূষিত হওয়া। যেমন চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে পানি দূষিত। যার কারণে মাছ মরে যাচ্ছে। তাদের জন্য পরামর্শ হল পানি দূষণের মাত্রা যদি কম হয় তাহলে পাঙ্গাশ চাষ করতে পারেন। আর যারা নতুন তারা নিশ্চিত হয়ে নিবেন নদীর পানি দূষণমুক্ত কিনা। আর লোকসানের আরেকটি কারন হল মাছের সঠিক পরিচর্যার অভাব। যেমন সময় অনুযায়ী পরিমানমতো খাবার দেওয়া। মৃত মাছ অপসারণ করা। সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে আপনি খুব সহজেই একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারবেন।

আজকের আলোচনা নিয়ে যদি কারও কোন পরামর্শ অথবা প্রশ্ন থাকে, অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ।


Related Post

জনপ্রিয় পণ্য

সাম্প্রতিক পণ্য

Leave a Comment:
alibaba & Import Export expert

সি এন্ড এফ, আমদানি, আলিবাবা নিয়ে যেকোনো সমস্যায় আমাকে ফেসবুকে মেসেজ করুন

এখানে ক্লিক করুন
2017 © 2024 eibbuy. All Rights Reserved.
Developed By Fluttertune react js next js